বিনোদন ডেস্ক || ‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ কৌশলী অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। এর মধ্যে কম নয় নারী ভক্তের সংখ্যাও। তবে গত দুই দশক ধরে মহেশের মনের রানি হয়ে আছেন তার স্ত্রী নম্রতা শিরোদকর।
নম্রতা একাধারে— মডেল ও অভিনেত্রী। মডেলিং ক্যারিয়ারে বেশ ভালো সময় পার করছিলেন নম্রতা। ১৯৯৩ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ বিজয়ী হন। এরপর ভারতের হয়ে ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে প্রতিনিধিত্ব করে পঞ্চম হন। তারপর বেশ কয়েকটি মডেলিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সালমান খান ও টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে ‘জব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন নম্রমতা।
‘ভামসি’ তার প্রথম তেলেগু সিনেমা। এর আগে কয়েকটি হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন নম্রতা। অর্ধযুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে ২৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল একটি ক্যারিয়ার ছিল তার। কিন্তু বিয়ের পর অভিনয় থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন। এর আগে অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন—‘একজন নায়িকা হওয়ার চেয়ে মহেশ বাবুর স্ত্রী হতে বেশি পছন্দ করি।’ তারপরও গুঞ্জন রয়েছে, মহেশের কারণে অভিনয় ছাড়তে বাধ্য হন নম্রতা।
কয়েক দিন আগে তেলেগু একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নম্রতা। এ আলাপচারিতায় অভিনয় ছাড়ার কারণ ফের বিশদে ব্যাখা করেছেন তিনি। তার ভাষায়— ‘মহেশ পরিষ্কার জানিয়েছিল, সে কর্মজীবী স্ত্রী চায় না। এমনকী আমি যদি কোনো অফিসেও চাকরি করতাম, তবু বলতো কাজটি ছেড়ে দাও। এরকম বেশ কিছু বিষয়ে আগেই আমাদের মাঝে বোঝাপড়া হয়েছিল।’
স্বামী মহেশের সঙ্গে কিছু বিষয়ে সমঝোতার উদাহরণ টানেন নম্রতা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মহেশকে বলেছিলাম, বিয়ের পর অ্যাপার্টমেন্ট থাকব। কারণ মুম্বাই থেকে হায়দরাবাদে নতুন গিয়েছিলাম; বুঝতে পারছিলাম না এত বড় বাংলোতে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেব। তা ছাড়াও ভয় পাচ্ছিলাম। যার কারণে মহেশ একটি অ্যাপার্টমেন্টে আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। হায়দরাবাদে গিয়ে বসবাসের জন্য এটি ছিল আমার শর্ত।’
‘একইভাবে, মহেশের চাওয়া ছিল, আমি যেন কাজ না করি। যার জন্য কিছুটা সময় নিয়ে আমার সিনেমার সব কাজ শেষ করে ফেলি। আমরা যখন বিয়ে করি, তখন আমার হাতে কোনো কাজ ছিল না; যা ছিল সেসব কাজ পরিকল্পিতভাবে বিয়ের আগেই শেষ করে ফেলেছিলাম। এরকম অনেক বিষয়ে আমাদের মাঝে পরিষ্কার করা ছিল।’ বলেন নম্রতা।
২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন মহেশ-নম্রতা। বিয়েতে শুধু দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ২০০৬ সালে এই জুটির ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান গৌতম কৃষ্ণা। ২০১২ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির কন্যা সিতারা।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট