তানভীর আহমেদ:- কুলিয়ারচরে প্রবাসী ছেলেকে বাঁচাতে মা দিশেহারা।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃতঃ মুস্তাক আহাম্মদের ছেলে হাবিবুর রহমান তামিম (২৬) গত ৬ মাস পূর্বে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন।
কিছুদিন যেতে না যেতে তার সমস্ত শরীরের এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান তার শরীরের বেশিরভাগ অংশে পচন ধরেছে সে বিদেশের মাটিতে রুমবন্দী অবস্থায় মানবতার জীবন যাপন করছে। পচনের দুর্গন্ধের কারণে তার কাছে কেউ দেখা করতে আসে না।
কর্মহীন হয়ে পড়ায় টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করতে পারছেনা। মা, ভাই ও আত্মীয়স্বজনের কাছে নিজের জীবন বাঁচাতে প্রতিনিহত মোবাইলে ফোন দিয়ে কান্না করছে ও বেঁচে থাকার আকুতি জানাচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু পারিবারের চাচা, কবির, চাচি মেহেরা, অঞ্জনা, রোখছানা, শিরিন ও চাচাতো ভাই জুনেল, সুফলদের শত্রুতার কারণে,তাদের খারিজ কৃত জমি বিক্রিও করতে পারছে না, বাধা প্রদান করে ও ভয়-ভীতি দেখায়।
চিকিৎসার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা জমি বিক্রি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মা তার সন্তান বাঁচাতে পাগলের মত মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে টাকার অভাবে।
মা ফাতেমা খাতুন আনোয়ারা প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমার ছেলের জীবন বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে টাকার জন্য ঘুরছি। কোন ভাবে টাকা জোগাড় করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার স্বামীর রেখে যাওয়া খারিজকৃত জমি বিক্রি করতে চাইলে, আমার প্রতিপক্ষরা বাধা প্রদান করে ও যারা ক্রয় করতে আসে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায়।
আমার আকুল আবেদন কুলিয়ারচর উপজেলার প্রশাসন ও গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আমাকে একটু সহযোগিতা করার জন্য আমি জমিটা বিক্রি করে আমার ছেলেকে সুচিকিৎসা করাতে পারি ও দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট