৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতারে পা রাখে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে আসর শুরুর পর সমর্থকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তাই গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে বাদ পড়ার শঙ্কা নিয়েই খেলতে হয়। কিন্তু আলবিসেলেস্তেরা বেশ সহজে সেই দুর্গম পথ জয় করে। শুধু তা-ই নয় শেষ ষোলো রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে।
পুরো ম্যাচ দাপট দেখালেও শেষ মুহূর্তে কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে খেলে আলবিসেলস্তেরা। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সতর্ক না থাকলে হয়তো সমতায় ফিরত অস্ট্রেলিয়া। পেনাল্টি এরিয়া থেকে কুয়োলের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ।
তাছাড়া খুব একটা ভুগেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, নিয়ন্ত্রিত এক ম্যাচ ছিল। আমার মনে হয় আমরা ম্যাচটি শেষ করতে পারতাম। মার্টিনেজের সেই সেভটি বাদ দিলে সম্ভবত আমরা খুব একটা ভুগিনি। এটি খুবই শারীরিক এক ম্যাচ ছিল।
জয় এবং আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ায় খুবই খুশি আমি। এরপরই মেসি মনে করিয়ে দিলেন শেষ আটের ‘কঠিন’ লড়াইয়ের কথা। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের কথা, আমার মনে হচ্ছে খুব কঠিন এক ম্যাচই হতে যাচ্ছে সেটা। তারা আমাদের কাছ থেকে ম্যাচটা
বের করে নিতে চাইবে। এই পর্যায়ে এসে বিশ্বকাপ আরও কঠিন উঠছে। কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচের জন্য মেসিদের হাতে আছে আর মাত্র ৫ দিন। আগামী শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে হবে সেই লড়াই।
সেই সেভ নিয়ে মার্টিনেজ বলেন, এটি আমার প্রথম বিশ্বকাপ, চেষ্টা করছি সেরাটা দেয়ার। আমি মাঠে শান্ত আছি এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ আমরা সংগ্রাম করেছি, তারা খুবই শক্তভাবে প্রেস করেছে। অদ্ভুতভাবে গোলটি পেয়ে যায় এবং
তা মেনে নেয়া কঠিন ছিল আমাদের জন্য। মেসির ব্যাপারে মার্তিনেজ বলেন, যখন প্রয়োজন হয় মেসি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় এবং তাকে অবশ্যই আমাদের সাহায্য করা উচিত।
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা। এদিন নিজের ক্যারিয়ারের ১ হাজারতম ম্যাচ খেলতে নামেন মেসি। দলের হয়ে গোল করেন মেসি ও আলভারেজ। অস্ট্রেলিয়ার গোলটি আত্মঘাতি থেকে হয়।