সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দল হিসেবে ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল। ইনজুরির কারণে এদিন মাঠে নামা হয়নি নেইমারের।
ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার ছাড়াই খেলতে নামেন ভিনিসাস-রিচার্লিসনরা। মিডফিল্ডার কাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আর্জেন্টাইন
কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। তিনি বলেছেন, ‘ব্রাজিল দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে গেছে, এতে আমি খুবই খুশি। আমি একজন লাতিন আমেরিকান। দক্ষিণ আমেরিকান হিসেবে ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা অবশ্যই সুখের।’
ব্রাজিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এই আর্জেন্টাইন কোচ তা মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল হলেও ব্রাজিলে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। তারা আমার ব্যক্তিগত শুভাকাঙ্ক্ষীও।’ এদিকে, পরপর দু’টির ম্যাচে জয়ে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট
নিয়ে এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ব্রাজিল। সমানসংখ্যক ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ৩, ক্যামেরুন-সার্বিয়ার ১ করে পয়েন্ট আছে। দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে দলের সেরা তারকা নেইমার ও ডানিলোকে ছাড়া খেলতে নামে ব্রাজিল।
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে কোন জয় নেই ব্রাজিলের। তাই কিছুটা চাপে থেকেই সুইসদের বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল। সুইজারল্যান্ডের জমাট রক্ষণদেয়াল ভেঙে বিরতির পর গিয়ে ডেডলক ভাঙেন ভিনিসিয়ুস;
যদিও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। তবে শেষমুহূর্তে গোল করে সেলেসাওদের জেতান কাসেমিরো। তোলেন নকআউট পর্বেও। এই ম্যাচে জয়ের ফলে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছে সেলেসাওরা। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার
অনন্য রেকর্ড গড়েছে তারা। ব্রাজিল ছাড়া আর কোনো দলের টানা এতো ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নেই। ব্রাজিল সবশেষ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে হেরেছিল গ্রুপপর্বে। সেবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হেরেছিল নরওয়ের কাছে। এরপর ২০০২,
২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে ১৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকে। ২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্সের টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে ব্রাজিল। আজ (২৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল ছাড়িয়ে যায় সবাইকে।
এই অপরাজিত যাত্রায় ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল, বাকি তিন ম্যাচ ড্র করেছে তারা। ১৯৯৮ সালের পর গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচে আর হারেনি পাচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টানা ২৪ বছর ধরে তারা বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে অপরাজিত আছে।