সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেইমারহীন ব্রাজিলের ছক ব্রাজিলের আলট্রা-অ্যাটাকিং লাইনআপ নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে শঙ্কা থেকে যেতেই পারে। তাই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেইমারহীন ব্রাজিল দল কীভাবে লাইনআপ সাজাবে, সেটা কোচ তিতে নিশ্চয়ই
আগেভাগে হিসাব কষে রেখেছেন। সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সেলেসাওদের চেনা যায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের আবহ পাল্টে দেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। তার দেওয়া জোড়া গোলের সুবাদে ব্রাজিল দলের সংগ্রহে
পুরো তিন পয়েন্ট জমা হয়ে আছে। তারপরও দলের মূল তারকা নেইমার সেই ম্যাচেই ইনজুরির শিকার হন। ডাক্তার বলেন, গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে তাকে আর নামানো ঠিক হবে না। ও রেস্টে থাকুক। নেইমারের পাশাপাশি ডিফেন্ডার ড্যানিলোও
মাঠের বাইরে থাকছেন। নেইমারের বিশ্বকাপভাগ্য তেমন ইতিবাচক নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরির শিকার হয়ে আর খেলতে পারেননি। আবার ২০১৮ বিশ্বকাপে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামায় তাল মেলাতে পারছিলেন না। এটা ঠিক, ব্রাজিল দলে তারকার
অভাব নেই। তাই লাইনআপ কোচের টেনশন খুব বেশি হয় না। গ্যাব্রিয়েল মারতিনেল্লি দারুণ ফর্মে আছেন। কোচ তিতে ইচ্ছে করলেই নেইমারের জায়গায় মারতিনেল্লি আর ফিরমিনোকে দিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারেন। ২০১৯ সালে ব্রাজিল নেইমারকে
ছাড়াই কোপা আমেরিকা কাপ জিতেছিল। নেইমার তখন গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন। তাই একে নামালে কাজ হবে আর ওকে নামালে কাজ হবে না—এমন যুক্তি খুব একটা অর্থবহ নয়। কারণ উইঙ্গার আর সেন্টার ফরোয়ার্ডরা দলের
জন্যই খেলেন। তারপরও এটা ঠিক, ব্রাজিলের অ্যাটাকিং ট্যালেন্ট রিচার্লিসন আর ভিনিসিউস জুনিয়রা মূলত নেইমারদের কারণে মাঠে অনেক উপকৃত হন। আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেইমার মাঠে নামবেন না, এটা দলের পক্ষ থেকে
ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ইএনপিএন দাবি করেছে, আগামী শুক্রবার ক্যামেরুনের বিপক্ষেও নেইমার সাইড লাইনে থাকছেন। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ভিনিসিউস অসাধারণ খেলেছেন। তাই কোচ তিতে লাইন আপে জায়গা দেবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কিন্তু নেইমারের জায়গায় কে নামবেন? ওই জায়গায় পাকুয়িতাকে দেখা গেলে অস্বাভাবিক কিছু হবে না। অন্যদিকে ডিফেন্ডার ড্যানিলোর জায়গাটি পেতে পারেন ফ্রেড। এডার মিলিতাও রাইট-ব্যাক পজিশনে খেলতে পারেন। তবে ঝুলিতে তিন পয়েন্ট থাকায় নেইমারহীন ব্রাজিল খুব বেশি টেনশনে নেই।