শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

বাঘমানব ১৪টি সার্জারির মাধ্যমে বাঘ বনে গিয়েছিলেন যিনি

ফিচার ডেস্ক, প্রতিদিনের পোস্ট / ১৩ বার
আপডেট : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
বাঘমানব_১৪টি_সার্জারির_মাধ্যমে_বাঘ_বনে_গিয়েছিলেন_যিনি

ফিচার ডেস্ক, প্রতিদিনের পোস্ট: বাঘমানব ১৪টি সার্জারির মাধ্যমে বাঘ বনে গিয়েছিলেন যিনি। যে যায় বলুক, মানুষ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তার নিজের চেহারাকে। অন্য মানুষকে মানুষ যতই অনুসরণ করুক আর অনুকরণ করুক, কেউ চায় না তার চেহারা সেই মানুষের হয়ে যাক। তবে কারও কারও অতি প্রিয় মানুষের মতো হওয়া বাসনা জাগতেই পারে। তাই বলে কেউ হয়তো কোন প্রাণীর মতো হতে চাইবে না। একবার কল্পনা করুন আপনার এতো সুন্দয় মুখাবয়ব যদি কোন প্রাণীর মতো হয়ে যায়, তাহলে আপনি হয়তো বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলবেন। কিন্তু বাস্তবে একজন আছেন যে তার চেহারাকে নিজেই হিংস্র প্রাণীর মতো করতে চেয়েছিলেন। সত্যিই মানুষের মনে কতনা উদ্ভট বাসনাই না জাগে!

বলছিলাম, ডেনিস অ্যাভনারের কথা। তাকে অনেকে স্টালকিং ক্যাট নামেও ডাকে। তিনি ১৯৫৪ সালের ২ আগস্ট আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থল বাঘের অন্যতম হিংস্র প্রাণী বাঘের মতো চেহারা পেতে একবার নয়, দুইবার নয়, গুণে গুণে ১৪ বার মুখে অস্ত্রোপচার করান ডেনিস অ্যাভনার। ‘জন্তুর মতো চেহারা পেতে সবচয়ে স্থায়ী রূপান্তর’ ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বরেকর্ডও গড়েন অ্যাভনার।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর বাসিন্দা ল্যারি হ্যাংকস ১৯৮৫ সাল থেকে ডেনসি অ্যাভনারের শরীরে পরিবর্তন আনতে কাজ শুরু করেন। এছাড়াও, ডেনিসের শরীরে পরিবর্তন আনতে অনেক কাজ করেন অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের শিল্পী স্টিভ হাওয়ার্থ।

বিশ্ময়কর বিষয় হলো, বাঘের মতো মুখাবয়ব পেতে তিনি ব্যয় করেছেন প্রায় ২ লাখ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ক্রমাগত প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখের আকৃতির পরিবর্তন এনেছেন ওই ব্যক্তি। মুখে অবিকল বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ এঁকেছেন ট্যাটু করে। দাঁতগুলো সূঁচালো করেছেন, ঠোঁটযুগল কেটেও বিকৃত করে বাঘের মতো বানানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।

ডেনিস তার শরীরেও বাঘের মতো ডোরাকাটা ট্যাটু আঁকেন। সার্জারির মাধ্যমে করেন মুখের ইমপ্লান্টে ভ্রু, কপাল ও তার নাকের আকৃতি পরিবর্তন। সেপ্টাম স্থানান্তরের মাধ্যমে নাক চ্যাপ্টা করেন। এছাড়াও ডেনিসের ঠোঁট, গাল ও চিবুকে সিলিকন ইনজেকশনও দেওয়া হতো। ডেনিস সার্জারির মাধ্যমে তার উপরের ঠোঁট কেটে পরিবর্তন করে ফেলেন। এমনকি তিনি সব সময় একটি রোবোটিক লেজ পেছনে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছিলেন যে, তার মাথার উপরে ইমপ্লান্ট করার ও বাঘের মতো কান লাগানোর জন্য।

এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!