প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে এবার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। হাজারো বিদেশি দর্শকের ভিড়ে দেশটিতে চলছে ফুটবল উন্মাদনা। তবে এর মধ্যেই ঘটে গেছে ‘বিরল’ এক ঘটনা। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শুরুর আগে
রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ৫০ মাইল উত্তরে অবস্থিত বাণিজ্যিক শহর রাস লাফানে আঘাত হেনেছে টর্নেডো। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি ফুটবল স্টেডিয়াম থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে স্থানীয় সময় বুধবার (৭ ডিসেম্বর)
বিকেলে এ টর্নেডো আঘাত হানে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। এর আগে কাতারের আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির বিষয়ে সতর্কতা জারি করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছিল। পরে সংস্থাটি টর্নেডোর একটি ভিডিও টুইট করে।
কাতারের আবহাওয়া বিভাগ প্রথমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাস লাফান শহরে একটি অন্ধকার, ঘূর্ণায়মান টর্নেডোর ফুটেজ শেয়ার করে। যেখানে ঘন কালো মেঘের একটি বড় কুণ্ডলী দেখা যায়, যা নিচে বাল্ব-আকৃতির ফানেলের মতো। পরে ১৪
সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দূরে থেকে টর্নেডোর একটি সংকীর্ণ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে বুধবার দিনের শুরুতে ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে শিলাবৃষ্টিসহ প্রবল ঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করেছিল কাতারের আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে কাতারের উত্তর-পূর্ব উপকূলের পরিত্যক্ত শহর আল হুওয়াইলাহতে আরেকটি টর্নেডো দেখা গেছে। স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘আগামী দিনগুলোতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পাশাপাশি কাতারের তাপমাত্রা কমতে পারে।’ কাতারে আঘাত হানা টর্নেডোকে
বিরল ঘটনা বলা হচ্ছে। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে টর্নেডো সাধারণ বা নিয়মিত কোনো ঘটনা নয়। এছাড়া আঘাত হানলেও এগুলো ততটা শক্তিশালী হয়না। তবে কোনো আবাসিক এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ২০১৬ সালে কাতারে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানে।