ফুটবল বিশ্বকাপ শিরো’পাপ্রত্যাশী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বড় অঘটন ঘটিয়েছে সৌদি আরব। খেলায় সৌদির জয়ের নায়ক গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইস। তিনি ম্যাচ সেরাও হয়েছেন। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত সব
শট ঠেকিয়ে নজ’রকাড়া আল ওয়াইসকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এবং চট্টগ্রামের শীর্ষ শিল্পগ্রুপ মোস্তফা হাকিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর আলম।
তিনি ফ্ল্যাটটি দিতে চান মোস্তফা হাকিম গ্রুপের মালি’কানাধীন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন মোস্তফা হাকিম বাগানবাড়িতে। পাশাপাশি মোহাম্মদ আল ওয়াইসকে চট্টগ্রামে এনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দিতেও
আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মনজুর। সৌদি আরবের দুর্দান্ত এ জয়ে মু’সলিম উম্মাহর সুনাম বেড়েছে বলেও মনে করেন চসিকের সাবেক এ মেয়র। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে এক শোকরানা সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে এমন কথা জানান মনজুর আলম।
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদি আ’রব জয়ী হওয়ায় এ মাহফিল করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্নেলহাট সংলগ্ন মোস্তফা হাকিম ভবন অডিটরিয়ামে এ মাহফিল হয়। সাবেক মেয়র মনজুর আলম জাগো নিউজ’কে বলেন,
‘আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম খেলায় সৌদি আরবের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইস অসাধারণ খেলেছেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে সৌদি আরব শিরোপাপ্রত্যাশী আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছে। এ জয়ের মাধ্যমে বিশ্ব দর’বারে সৌদি আরব মুসলিম
উম্মাহর মুখ উজ্জ্বল করেছে। এটা অনন্য কীর্তি। এ জন্য আমরা গর্বিত।’ তিনি বলেন, ‘এ কৃতিত্বের জন্য তাকে আমরা বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাই। চট্টগ্রামে এনে সাগ’রিকার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দিতে চাই।
পাশাপাশি তাকে আমাদের বাগান বাড়িতে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি উপহার দিতে চাই। তিনি বাংলাদেশে আসতে রাজি থাকলে আমি এ অনুষ্ঠানের আ’য়োজন করবো।’ আলহাজ মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে
আয়োজিত শোকরানা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপাধ্যক্ষ বাদশা আলম, মাওলানা ফরিদুল আলমসহ শিক্ষার্থীরা। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল মান্নান। মোনা’জাতে সৌদি আরব ও
বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া ও আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিলে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলহাজ হোছনে আরা ওয়েল’ফেয়ার ট্রাস্ট
পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদরাসাগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আধাবেলা ছুটি দেওয়া হয়।