দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল দেখিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের ১২ মিনিটে দুই গোলের লিড নেয় সেলেসাওরা। প্রথমার্ধে লিড হয় ৪-০ গোলের। প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু গোল করার সুযোগ হারিয়ে ৪-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে ফেবারিট
তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে আসা দলটি। সেলেসাওদের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম গোল। প্রথম গোলের স্বাদ পেয়েছেন লুকাস পাকুয়েতাও। এর মধ্যে নেইমার ও রিচার্লিসনও গোল পেয়েছেন। মাঠে তারা ‘জোগো বোনিত’
বা সুন্দর ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়েছে। চারটি গোল করেই ব্রাজিলের ফুটবলাররা দেখিয়েছে সাম্বা নৃত্য। তবে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করে ব্রাজিলের নাম্বার নাইন রিচার্লিসন দৌড়ে ডাগ আউটে চলে যান। সেখানে ‘পিজন ড্যান্স’ বা কবুতর নাচ দেখান তিনি।
নাচটিকে ‘ঘুঘু ড্যান্স’ বলা যায়। কারণ রিচার্লিকে তার ভক্তরা ‘ঘুঘু পাখি রিচার্লি’ বলে ডাকেন। ওই নাচে তারা ব্রাজিলের কোচ তিতেকেও সামিল করেন। এরপর ফিফা বিশ্বকাপের পডকাস্টে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি এবং দেশটির ইতিহাস সেরা নাম্বার নাইন রোনালদো
নাজারিও’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারের টেবিলে বসেন ব্রাজিলের বর্তমান নাম্বার নাইন। ওই সাক্ষাৎকারে দ্য ফেনোমেননকে কবুতর নাচ শেখান রিচার্লি। দাঁড়িয়ে কোমরে দুই হাত বেঁধে মাথা ঝুঁকিয়ে এবং মাথা নাড়িয়ে দেওয়া তাদের নাচ বেশ সাড়া ফেলেছে সামাজিক মাধ্যমে।
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে রিচার্লিকে বিশ্বকাপ জয়ী রোনালদো বলেন, ‘তুমি কি আমাকে কবুতর নাচ শেখাবে? আমি সত্যিই শিখতে চাই।’ এরপর দু’জন দাঁড়িয়ে ওই নাচ অনুশীলন করেন। রোনালদোকে জড়িয়ে ধরেন রিচার্লিসন।
তার পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নেন। সাক্ষাৎকারে আসরে তিন গোল করা রিচার্লি জানান যে, বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ড আরও এগিয়ে নিতে চান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও গোল করতে চান।