শাশুড়ির প্রেমে মগ্ন ছিলেন জামাই। মাঝে মধ্যে একান্তে সময়ও কাটাত। কিন্তু, প্রেমে বাধ সাধলেন পড়শিরা। জানা গিয়েছে, জামাই এবং শাশুড়িকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে রীতিমতো মারধর করে তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই শাশুড়ি-জামাইকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গোসাই হাটের ডিপটারি গ্রামে। জানা গিয়েছে, তাজিবুল হক নামক এক যুবকের সঙ্গে কয়েক বছর আগে ডিপটারির এক বাসিন্দার এক যুবতীর বিয়ে হয়। কিন্তু, বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়া করত তাজিবুল।কারণ হিসেবে উঠে আসে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক।
জানা যায়, ওই যুবক শাশুড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও বসেছিল। সেই সময় তাঁকে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছিল। অভিযোগ এরপরেও তাজিবুল শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং ফোনে তাদের নিয়মিত কথাবার্তা চলত।
শুক্রবার বাড়িতে শ্বশুর থাকার খবর পেয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে যায় তাজিবুল। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিল সে। একান্তে রান্নাঘরে তারা বেশ কিছুক্ষণ সময়ও কাটিয়েছিল। কিন্তু, গ্রামবাসীরা হাতেনাতে পাকড়াও করে তাদের। এরপরেই তাদের গাছে সঙ্গে বেঁধে চলে বেদম প্রহার।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই দু’জনকে উদ্ধার করে তারা থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ওই দুই পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ফলে শাশুড়ি এবং জামাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশীদের কথায়, “এর আগেও ওই যুবকের সঙ্গে তার শাশুড়ির সম্পর্কে থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। সেই কারণে মেয়ের সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। আমাদের তরফে ওই যুবককে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। কোনওভাবেই যাতে সে
শ্বশুরবাড়ি তে না আসে সেজন্য সাবধানও করা হয়েছিল। কিন্তু, ও কথা শোনেনি। আমরা ওদের হাতেনাতে পাকড়াও করেছি। এভাবে ওর মেয়ের জীবনটা নষ্ঠ হয়ে গেল।”