আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে, টুর্নামেন্টের নামও আবুধাবি। টিম আবুধাবিকে তাই স্বাগতিক দলই বলা যেতে পারে। তবে সেই স্বাগতিক দলের টি-টেন লিগের ষষ্ঠ আসর শুরু হল বাজেভাবে। হেরে যাওয়া এই ম্যাচেই টি-টেন
লিগে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। যদিও অভিষেকে তিনি ছিলেন ভীষণ খরুচে।আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই মাঠে নেমে পড়তে হয় মুস্তাফিজকে।
কারণ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। সেই পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিং এদিন আঁধার নামিয়ে আনে মুস্তাফিজের ওপর। মাত্র ৩৩ বলের মোকাবেলায় ৭৭ রান
করে অপরাজিত থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দারুণ এই ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা। এর মধ্যে ২টি চার ও ৩টি ছক্কাই হাঁকিয়েছেন মুস্তাফিজকে। তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলে ছক্কা ও দ্বিতীয় বলে চার
হজম করেন মুস্তাফিজ। একই ওভারে করেন দুটি ওয়াইড, যার একটি আবার চার হয়ে যায়। প্রথম ওভারেই বিলি করে বসেন ১৮ রান। অধিনায়ক ক্রিস লিন আবারও মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ৯ম ওভারে।
এবার মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হন পুরান। প্রথম বলে চার, পরের বলে ছক্কা, তৃতীয় বলে আবার চার হাঁকানোর পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে আরও দুই ছক্কা হাঁকান। সেই ওভারে ২৭ রান খরচ করেন কাটার মাস্টার, ২ ওভারে যেখানে খরচ ছিল ৪৫ রান।
দলের পক্ষে মুস্তাফিজই ছিলেন সবচেয়ে খরুচে বোলার। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম আবুধাবির ব্যাটাররা দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারেননি। ক্রিস লিন ১৪, অ্যালেক্স হেলস ৮, ব্রেন্ডন কিং ১, আবিদ আলী ১, অ্যান্ড্রু টাই ১
রানে ফেরেন সাজঘরে। জেমস ভিন্সের ১৯ বলে ৩৭ ও ফাবিয়ান অ্যালেনের শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৯রান, জয়ের জন্য যা যথেষ্ট ছিল না।
মুস্তাফিজকে অবশ্য ব্যাট হাতে ক্রিজে নামতে হয়নি। ৩৫ রানের বিশাল জয় পাওয়াডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে জাহুর খান ও টম হেল্ম দুটি উইকেট শিকার করেন।