সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়ায় একটি শহীদ মিনারের পিলার ধসে জান্নাতি আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিহত জান্নাতি আক্তার সেকান্দরদী গ্রামের রাব্বি মোল্লার মেয়ে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিহতের ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব আছেন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এটি নিশ্চিত করেন সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন। এছাড়া শিশু জান্নাতির নিহতের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ করে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, জান্নাতি আক্তার শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বাড়ির পাশে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ শহীদ মিনারের একটি পিলার ভেঙে শিশু জান্নাতির উপর পড়ে। এতে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারিউল্লাহ সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেটি মেরামত না করে দড়ি দিয়ে পিলারটি গাছের সাথে বেধে রাখে। যার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গাফলতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিহত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।