ঢাকাবুধবার , ২০ অক্টোবর ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কালিয়াকৈর উপজেলা
  5. কিশোরগঞ্জ
  6. কুমিল্লা
  7. কুলিয়ারচর উপজেলা
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গাজীপুর
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দিনাজপুর জেলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নরসিংদীতে হেলিপোর্ট গিলে খাচ্ছে ভূমি খেকুরা

নাসিম আজাদ, প্রতিদিনের পোস্ট
অক্টোবর ২০, ২০২১ ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নাসিম আজাদ, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীতে হেলিপোর্ট গিলে খাচ্ছে ভূমি খেকুরা। নরসিংদীর পলাশে সরকারি সম্পত্তিতে নির্মিত উপজেলার একমাত্র হেলিপোর্ট গিলে খাচ্ছে স্থানীয় একশ্রেনীর ভূমি খেকুরা।

জানা যায়, ১৯৮৮ সালে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে বহু কষ্টে দিন কাটাতেন। সেই বন্যায় প্রাণহানি হয়েছিল বহু মানুষ ও গরু ছাগল। ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল ফসলি জমির। পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল রেলপথ, মহাসড়ক সহ বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। রাজধানী ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গবাদিপশু পশু সহ মানুষ আশ্রয় নিয়ছিল স্কুল কলেজের বারান্দা সহ আশ্রয়ন শিবির গুলোতে। সরকারি বেসরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো ছিল খুবই কষ্টসাধ্য।

সেই দিক বিবেচনা করে ততকালীন সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ন্যায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের পারুলিয়ায়ও নির্মান করেন একটি হেলিপোর্ট।

বন্যাসহ বিভিন্ন দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে যাতে অতি সহজে রাজধানী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো যায়, সেই জন্য পলাশ উপজেলা ভূমি অফিস সরকারি এই সম্পত্তি চিহ্নিত করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটি ভরাট করা হয়। ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে হেলিপোর্টটি সরকারি ভাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

পারুলিয়া নগর নরসিংহপুর গ্রামের আরিফ মোল্লা প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন তদারকির অভাবে এটি সরকারের বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ভূমি দস্যুরা ইতিমধ্যে হেলিপোর্টটির ৯০ ভাগ দখল করে নিয়েছে।

টেংগর পাড়ার আবদুল মান্নান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন বলেন, হেলিপোর্টটি বিশাল আকৃতির ছিল, এর সীমানা প্রাচীরের মধ্যে বিভিন্ন সবজি চাষ ও কলাবাগান করে আস্তে আস্তে এটিকে ছোট করে নিয়ে এসেছে। যে যেভাবে পারছে দখল করে খাচ্ছে। যেই ১৫/২০ শতাংশ জায়গা খালি রয়েছে, সেখানে দেখি প্রতিদিন বিকেলে শিশু কিশোররা ফুটবল খেলছে।

তারগাও গ্রামের আবুল কাসেম মিয়া বলেন, একসময় এখানে চৈত্র সংক্রান্তীর মেলা বসতো। ভূমি দস্যুদের দখল উৎসবের কারণে এখন আর বসেনা। আমি ৮/৯ মাস আগে দুবার উপজেলা ভূমি অফিসকে জানিয়েছি। বলেছি কিভাবে সরকারের দখল ভুক্ত করা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বার বার অনুরোধ করার পরও কোন ফল পাওয়া যায়নি। পাশেই রয়েছে পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠ এটিও ভূমি দস্যুরা অনেকটাই দখল করে ফেলেছে।

উপজেলা ভূমি অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে পলাশ উপজেলাধীন হেলিপোর্ট তৈরির লক্ষ্যে ততকালীন সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে ১৯৫ একর জমিতে মাটি ভরাট করে হেলিপোর্টটি নির্মান করেন।

এব্যাপারে পলাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলভিয়া স্নিগ্ধার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিদিনের পোস্ট ডট কমকে জানান, সরকারি সম্পত্তি বেদখল হতে পারেনা। আমরা এটি উদ্ধার করবো। উদ্ধার করাটা আমাদের দায়িত্ব। খুব দ্রুত এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি হেলিপোর্টের এই বিশাল জায়গাটি ভূমি খেকোদের দখল মুক্ত করে, এখানে যেন একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।

এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রতিদিনের পোস্ট পোর্টালে নিজস্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট ও সোর্স থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সুত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোনো খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।