চিতলমারী প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট: বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের দাবীতে এক প্রেমিকা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেমিকার বড় বোন। এর আগে প্রেমিকা ছন্দা রায় তার প্রেমিক অনিমেশের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন। সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার, পুলিশসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়ে তাকে অনিমেশের সাথে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পাঠিয়ে দেন বাবার বাড়িতে। এরপর অনিমেশের অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেমিকের সাথে কয়েক বার শারীরীক সম্পর্কের কথা উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছন্দা রায়। তিনি ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, ২০১৭ সালে চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের আরুলিয়া গ্রামের মৃত: আশুতোষ রায়ের মেয়ে ছন্দা রায়ের (৩০) সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের অনন্ত মজুমদারের মেজ ছেলে অনিমেশ মুজমদারের (৩৫) ভালবাসার সম্পর্ক হয়। অনিমেশ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে অনিমেশ ছন্দাকে বিয়ের খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দিতে বলে। ছন্দা তাকে এক লাখ টাকা যোগাড় করে দেয়। এরপর অনিমেশ ছন্দাকে তার (অনিমেশের) বাড়িতে গিয়ে উঠতে বলে। গত ২ মে বিকেলে ছন্দা অনিমেশদের খালিশপুর গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে ওঠে এবং বিয়ের প্রসঙ্গটি তোলে। অনিমেশ তখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ছন্দা বিয়ের দাবিতে ওই বাড়ীতে অবস্থান করে। এ সময় অনিমেশের মা, ভাইসহ অন্যান্য লোকেরা ছন্দাকে গালিগালাজ করে টেনেহেঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ছন্দা বিয়ের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকে।
৩ মে বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক, স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ এবং বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম ও অনিমেশের কাকা শান্ত মজুমদারসহ এলাকার কয়েকজন লোক বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছন্দাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর অনিমেশকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য তাদের বাড়ির লোকেরা চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিনব প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছন্দা।
বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে তার সাথে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লোকেরা মেয়েটিকে (ছন্দা) অনিমেশের সাথে দুই সপ্তাহ পর বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর সে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক মোবাইলে সাংবাদিকদের জানান, একটি মেয়ে ছেলে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকার খবর পেয়ে থানার এসআই মাইনুল সাহেবকে নিয়ে যাই। ভালবাসার সম্পর্ক না থাকলে এমনিতে একটি মেয়ে ছেলের বাড়িতে ওঠার সাহস দেখাবে না। ছেলে পক্ষকে বললে তারা ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট