কুমিল্লায় ‘ কোরআন অবমাননা’র ঘটনা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিদিনের পোস্ট: কুমিল্লা শহরের চলমান দুর্গাপূজার পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে পবিত্র কুরআন শরীফ দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এখানকার মুসলিম জনগণ। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায় স্থানীয়দের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করত গিয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছাড়ে। এতে কমপক্ষে ৫ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর এসেছে।
আজ বুধবার ১২ ঘটিকায় দিকে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘিরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের একটি পূজার মণ্ডপে হনুমান স্বদৃশ মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয় নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ জনগণ নানুয়ার দিঘিরপাড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করে।
উক্ত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ একত্রে জড়ো হয়ে দুটি মণ্ডপে ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল এবং ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
উক্ত পূজামন্ডপে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানিয়ছেন, আমরা পবিত্র কোরানের মর্যাদা বুঝি। যারা এই ধরণের অপকর্ম ঘটিয়েছে তাদের আইনের অধীনে এনে শাস্তি প্রদান করা হবে।
এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।