ঢাকাশনিবার , ৫ মার্চ ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কালিয়াকৈর উপজেলা
  5. কিশোরগঞ্জ
  6. কুমিল্লা
  7. কুলিয়ারচর উপজেলা
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গাজীপুর
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দিনাজপুর জেলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একদিনেই ২৫ টাকা বাড়লো প্রতি কেজি পেঁয়াজে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৫, ২০২২ ২:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট: হটাৎ রাজশাহীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। পাইকার কিংবা খুচরা বিক্রেতা কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না হটাৎ কেনো পেঁয়াজে এমন উর্দ্ধমুখী দাম। অন্যদিকে, মসলা জাতীয় পণ্যটির দাম বাড়ায় খুশি চাষিরা।

আজ শনিবার (৫ মার্চ) রাজশাহীর সাহেববাজার কাঁচাবাজারের ইমন, উপশহর নিউমার্কেটের রোমান ও লক্ষীপুর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সিহাবের সাথে কথা বলে জানা যায়। গত দুসপ্তাহ আগে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছিল। তারপর দাম কমে স্বাভাবিক হয়। এখন হটাৎ পেঁয়াজ আমদানি আবার কমে গেছে। মূলত আমদানি কম হওয়ার কারণেই প্রতি কেজি পেঁয়াজে বেড়েছে ২০ টাকা।

কয়েকদিনের জন্য চালাক আড়তদাররা মজুদ করে রাখছে বলেও জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তারা আরও জানান, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে পেঁয়াজের দাম। তারা মনে করছেন অবশ্য এ বাড়তি দাম এক সপ্তাহের মধ্যে কমে আসবে। স্বাভাবিক বাজার ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে এসে স্থির হবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে আগুনের সময় ভোক্তা অধিকারের জোর পদক্ষেপ চান তারা।

চাষিরা বলছেন, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজির কম বিক্রি করলে তেমন কোন লাভ থাকবে না। উৎপাদন খরচ বেড়েছে কিন্তু দাম বাড়ছে না। এখন পাইকারিতে মানভেদে প্রতিমণ পেঁয়াজ ১২’শ থেকে ১৪’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১৬’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, রাজশাহীর চার জেলার উৎপাদিত পেঁয়াজের মধ্যে ‘তাহিরপুরি’ জাতের পেঁয়াজ চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। এ পেঁয়াজ বীজ হিসেবে বাড়িতে সংরক্ষণ করতে সহজ হওয়ায় চাষিরা সহজেই চাষ করতে পারেন। এছাড়া গুণে ও মানে অন্যান্য পেঁয়াজের চাইতে ভালো হওয়ায় দাম বেশি পাওয়া যায়। বাজারে এ পেঁয়াজের বেশ কদর থাকায় বাজারজাত করা যায় নিমিষেই। জেলার মোহনপুর, তানোর, চারঘাট, বাগমারাসহ সবকটি উপজেলার বেশিরভাগই চাষ হয় এ পেঁয়াজ।

মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ময়েজ উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের দাম উঠানামা করছে। যা বিক্রি করার ছিলো তা বিক্রি করে দিয়েছি। ভালো দাম পেয়েছি। ১২’শ থেকে দেড় হাজার পর্যন্ত দাম পেয়েছি। ক’দিন পরে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে এই দাম আর থাকবে না।

বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা শামিম শাহ্ বলেন, অতিরিক্ত দামে কন্দ জাতের পেঁয়াজের বীজ কেনাসহ খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ টাকা। বর্তমান যে দাম তাতে ভালোই লাভ হবে। তবে, এ দাম থাকবে না।

সাহেব বাজারে সবজি কিনতে আসেন সাইফুল ইসলাম। এই ক্রেতা বলেন, “কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা নিলাম ৩ দিন আগেই; আজ ১২০ টাকা কেজি। এদিকে পেঁয়াজ! পেঁয়াজ যেন তেলের মতো না হয় সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। ৪০ টাকার পেঁয়াজ আজ ৭০ টাকা। অথচ, রাতারাতি কারা এমন দামের জন্য দায়ী তাদের ধরছে না সরকার। কিছু বলার নাই।”

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/প্রতিদিনের পোস্ট

প্রতিদিনের পোস্ট পোর্টালে নিজস্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট ও সোর্স থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সুত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোনো খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।