মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১০:৪০ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপ সৃষ্টি করলো ৪০ বছরে ৩৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

নাসিম আজাদ / ১২ বার
আপডেট : সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
নরসিংদীতে_প্রাণ_আর_এফ_এল_গ্রুপ_সৃষ্টি_করলো_৪০_বছরে_৩৩_হাজার_মানুষের_কর্মসংস্থান

নাসিম আজাদ, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ নরসিংদীতে ১৯৮১ সালে পথচলা শুরুর পর তিনটি কারখানায় গত ৪০ বছরে ৩৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এসব কারখানার জনবলের ৯০ শতাংশ স্থানীয়। যেখানে প্রায় ২০ হাজার নারী কর্মী কাজ করছে। এছাড়া স্কুল ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুুপুরে নরসিংদীর পলাশে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “নরসিংদী জেলা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জন্য অত্যন্ত আবেগের একটি জায়গা। এখান থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা চালুুর মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হতে পেরেছে এবং দেখতে দেখতে গ্রুপের ৪০ বছর অতিক্রম করে ফেলেছে।

নরসিংদীতে আমাদের কারখানা স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য মূলত এখানকার সম্ভাবনাময় বিশাল জনগোষ্ঠী, সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অনকূল পরিবেশ কাজে লাগানো। আমরা সবসময় স্থানীয়দের সহযোগিতা পেয়ে আসছি যার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ”। কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অন্যতম উদ্দেশ্য ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। নরসিংদীতে আমাদের তিনটি কারখানায় শতাধিক প্রোডাকশন লাইন রয়েছে। আমরা আগামী দিনে ইলেকট্রনিকস, লিফট ম্যানুফ্যাকচারিং, ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ও রিসাইক্লিং প্লান্টসহ কয়েকটি খাতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছি। এর ফলে আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে”।

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিভিন্ন দুর্যোগে নরসিংদীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবারের করোনার মহামারীতেও আমরা সাধ্যমতো পাশে থেকেছি। আমাদের ‘সান হেলথ কেয়ার’ এখন স্বল্প পরিসরে নরসিংদীর মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামীতে এটি ৫০ শয্যা হাসপাতালে রুপান্তরিত করতে কাজ চলছে, যেটি বাস্তবায়ন হলে এখানকার স্বাস্থ্য সেবায় বড় ভূমিকা রাখবে। প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলও সুনামের সাথে শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। আমরা মনে করি, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে আমাদের আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে”।

প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার তানুল ইসলাম বলেন, “আমরা কারখানা পরিচালনায় পরিবেশের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নরসিংদীর তিনটি কারখানাতেই আমাদের ইটিপি রয়েছে, যার মাধ্যমে উৎপাদিত সবধরণের বর্জ্য শোধন করা হয়ে থাকে”। এসময় ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ফজলে রাব্বি, প্রাণ ফ্যাক্টরি ঘোড়াশাল এর জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার দেব,নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাখন দাস,পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম সফি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ মনা, পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নূরে-আলম রনি , সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মিয়া ও নরসিংদী জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রাণ আর এফ এল গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!